অভিষেক ঘোষ-এর দুটি কবিতা
রিমরিম জানে যা,আমি ভুলে যাই
কাটা ফলের কাছে সেলাইমেশিন নিয়ে
আসি
ফেব্রুয়ারির দুপুরের তাড়া খেয়ে
ঘেমে ওঠে
ঘর,
পাণ্ডিত্য দেখানোর ফলে যেটুকু
মাথা থাকে
বাকি,
সেটুকুও হারিয়ে যেতে যেতে হতে
চাওয়া
মন্ত্রমুগ্ধকর!
এমন এক যন্ত্র দিলে আমাকে, যে
নিশ্বাস দিয়ে
যায়
এক স্তবকের শেষেই খিদে পেয়ে যায়
প্রতিদিন
তখনও ছায়া টেনে চেয়ারের তলায়
নামিয়ে
দিয়ে বলি,
এই দ্যখো তুমি...এখনও
ভ্রান্তপথে, নিশ্চিন্ত স্বাধীন।
যে রোদ পুড়িয়ে খায় সকালের
খাবারে
প্রতিশোধ মেখে করে স্নান,
শান্তনার মাথা কেটে বলে, এ পর্যন্ত আপনিও
দূরেই ছিলেন,
তাই দূরে সরে যান।
কিন্তু তার পরেই তাকে নিয়ে আসি
উলুধ্বনির মাঝে
শাঁকের কণ্ঠ ভাঙা হলে, ঠাকুরকে
রান্নাঘর ছেড়ে
সামলাতে হয় হিসেব ভাড়ি ভাড়ি।
সেরেল্যকের গন্ধ যখন জিভ দিয়ে
নিয়েছিলে,
সেদিনই তুমি ছোট ছিলে না,
ছিলে সমুদ্র,ছিলে নাবিক, ছিলে
রাস্তার ধারে
জল পালানোর শব্দ শুনতে পাওয়া,
যুগান্তকারী।
বাতাস, বদল আর বদলা দুই দেখেছে
সমস্ত
রকম দুঃখের, জিজ্ঞাসা হয়।
আমার
মধ্যে কোন জিজ্ঞাসা নেই।
হয়ত
একদিন ছিল।
আজ কেউ নেই,
প্রশ্নের উত্তর দেবে বলে
নয়ত
কেউ আছে আমায়
প্রশ্ন
করবে বলে...
আমি
এখন,
নিজেকে
গুটিয়ে নিয়েছি,
আমার
কাছেও আজ একটাও উত্তর বেঁচে নেই।
তবু
একটা কথা ঠিক যে,
আমিও
ভেবে ভেবে লিখি। তোমার উত্তরের প্রয়োজন বোধ করে থাকি মাঝে মাঝে।
কিন্তু
না,
মাঝে
মাঝে যেটা আমি করি, সেটাও তো মাঝে মাঝে করি না।
কারণ
আমি জানি,
সম্পাদক
বদলে গেলে,
লেখক
লেখিকাও বদলে যাবে এখানে।
খুব ভালো লাগল।
ReplyDeleteআমি তো কথা বলবই। সে তুমি যতই পাত্তা না দাও বস।
ReplyDeleteআর কথা বলা তো পরের কথা। কবিতা পরেছি, বলে যাব। জীবনে প্রথমবার তোমার লেখা এরকম লাগল মাইরি। মানে তোমার ভাষায় লাগেনি। লাগেনি মানে কোত্থাও লাগেইনি। হুউউস।
ভাল লাগলো। অনেকটা আবেগ মাখানো।
ReplyDeleteValo laglo...
ReplyDeleteValo laglo...
ReplyDelete