পেয়ালা
প্রশান্ত গুহমজুমদার
১৭।
বিচ্যুতি এবং বিচ্ছেদ। বিরহ কি কিছু অল্প হইবে?
অনিবার্জ? পতন শব্দ ডাকিতেছে। একা নদী। ছবি চেষ্টা করিয়াছিলাম কবে? লাল, লালে।
চুমকি কি বাহুল্য ছিল? ওই হাসি ক্রমে উজ্জ্বল। রৌদ্রে। অঙ্কে রাখিলে দেখি কিঞ্চিৎ
বাঁকা, জলে পড়িয়াছে। চক্র। ভালবাসা কারে কয়? বাজারের ফলে আজ রঙ পড়িয়াছে। বিহ্বল আমি। বিশেষ আলোর দিকে
রাখি তোমার আয়োজন। দরজার আমূল চিহ্নে। আশায়। কি মেটিওর অন্ধকারে দেখি! বোঝা বা
না-বোঝায়। কোথায় সে! রঙ দেখি। আমাতে কি সে
মগ্ন হয়!
১৮।
এবং স্বপ্নের অভ্যন্তরে। লোক এবং
চাবি। পরস্বাপহরণ! হইতে পারে। তবে ঐ নিবেদনের অব্যবহিত মূহুর্তেই পেয়ালায় এই
চলাচল। বাহিরে এবং ক্ষেত্রে। পাথরেও ওই প্রেমকথা ছিল। স্থানিক। দেখিয়াছি, ছেনি
বাটালি। ক্ষুধার্ত। আমি তো প্রতিবন্ধী।
সামান্য চুম্বনে, চিত্রের ইতিহাসে ও। স্পর্শে, স্তন
তীব্র প্রত্যাশায়, ইতিমধ্যে। তদবধি মৃত্যু এবং বৃষ্টি ডাকে। সিঞ্চিত। চাবি কোথায়!
অথচ লোক ভাসে চমৎকার। ইহা কেন! আমার কি ক্ষুধা? রাত্রি!
বারবার রাত্রি! লোক, তোমাকে প্রণাম। বাহির
হইতেই এই ক্ষণে। চাবি নাই। হায়, এই হেমন্তে আর চাবি নাই! বালিশের খুব শেষে কে বা
কাহারা, অবশেষে জলের স্পর্ধায়। নোনা।
নোনা বালিশ খুব চেনা।
ReplyDelete