কবিতা - নীলাব্জ চক্রবর্তী






নীলাব্জ চক্রবর্তী-র চারটি কবিতা

২৪শে ডিসেম্বর ২১১৭ – এখন আমার কোনও কবিতা নেই  
(কৃতজ্ঞতা – সন্দীপন চট্টোপাধ্যায়, জাঁ লুক গোদার)


.

১০০ বছর আগের একটা মরা ছায়ায়
কালচে রোদ্দুর ভাসছে
চোখ কুঁচকে
সাদা সাদা পাথর ভাসছে
ধ্বনির কঙ্কালে
কোনোভাবে আটকে যাওয়া
ফ্যাকাশে লিরিকের মতো
এই পুরো লেখাটা বাঁ হাতে টাইপ করা হয়নি
স্পেসকে সেন্স দেওয়া হয়নি
অর্থাৎ
এখন আমার কোনও কবিতা নেই
শুধু আয়নায় একটা বড়ো হচ্ছে দিন
সংখ্যাগুলো সেখানে ফিরতে পারছে না ব’লে খালি হয়ে যাচ্ছে
সুন্দরীদের ঊরুতে আঁকা চিরহরিৎ পুরুষাঙ্গ হয়ে যাচ্ছে
আর একটার পর একটা পাতা ঝরিয়ে ফেলছে ইহকালীন গদ্যগুলো
যৌনতার ভেতরে
একটা কাঁচা বাষ্প আবছা ঢুকে পড়তে চাইছে...


.

হ্যালো
এই গল্পটার কোনও দরজা নেই
দেওয়াল-হুক থেকে ঝোলানো দিনগুলোয়
একরৈখিক কিছু রঙ ছাড়া আর কিছুই দেখিনি
খালি ফ্ল্যাট জুড়ে
ব্যাগ ভর্তি গদ্যের টুকরো লাইন ছড়িয়ে পড়তে
এইসব খসখসে তথ্যপ্রমাণের নীচে
একটা গোটা শীতকাল শুয়ে থাকছে
লুন্যাটিক একটা স্ট্রিং নিয়ে
সোলার প্যানেলগুলো কেঁপে উঠছে
আর টিজ করছে
ভাষা নামের সার্ভিস রোড বরাবর...


.

তোমাদের ব্যবহৃত
সবকটা চিহ্নের অর্থ আমি জানি না
সবকটা অপেক্ষার বিষয়ে আমি জানি না
এমনকি এই তালিকার ব্যাপারেও
একটা নির্লিপ্তি
খেয়ে ফেলতে থাকে আমাকে
কম্যুনিকেশনের আগে আর পরে দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে
বছরের প্রথম বাক্য
আর
বছরের শেষ বাক্যের মাঝে এসে পড়া
স্ট্রাকচারাল অসাম্যের ব্যাপারটা
লো-অ্যাঙ্গেল
আর
টপ ভিউয়ের মধ্যের দূরত্বের হতাশ ব্যাপারটা
তুলো দিয়ে বানানো একটা সিস্টেমের ভেতর
সারারাত ধ’রে
খেয়ে ফেলতে থাকে আমাকে...


.

১০০ বছর পরের কবিতা কেমন হবে
রোদের সূক্ষ্ম ও স্থূলকোণগুলি কেমন হবে
ভাবতে ভাবতে
ভাষাহীন একটা ফাঁপা বাক্সের ভেতর
পারফর্ম করাচ্ছি নিজেকে দিয়ে
আর
পায়েসের বাটিতে দেখছি
অন্য কারো ভুলে যাওয়া জন্মদিনের ক্রস রেফারেন্স
দেখছি
একটা খুব প্রেডিক্টেবল মন্তাজের ব্যবহার ঈষৎ লাল
অথচ
ধূসরতার একটি আয়নামূলক অভ্যাস হয়ে ওঠা
একটি বিবৃতির ভান হয়ে ওঠা
সিনট্যাক্স হয়ে ওঠা
আর তার অস্পষ্টতা নিয়ে
এই তো দু’-তিনটে ব্যাপার যা আমি এতদিনে জেনেছি...

2 comments:

  1. Replies
    1. ধন্যবাদ শান্তনু বাবু...

      --- নীলাব্জ চক্রবর্তী

      Delete