পরিব্রাজক ও ধূর্তের ঠোঁট
মণিদীপা সেন
তুমি ভবঘুরে হও। আমি রাজ্য গুছিয়ে বসব। পৃথিবী
ডিমের মত। তুমি চওড়া দিক থেকে ঢালু হয়ে এসো। নদীর অবতরণ অনুসরণ করে নেমে এসো সমতলে।
ততদিনে আমি সীমান্ত বুঝেছি, শিখেছি খুঁটি থেকে খুঁটি বিশুষ্ক ক্যাকটাস
বুনতে। তুমি চান ছেড়েছ। হাঁটতে শিখলে ডায়রী লেখা আবশ্যক। খাগড়ার শরীর তোমার তিন আঙুলে
কথা বলে। দিনে দিনে তোমার পিঠে জমে ওঠে সময়ের দস্তাবেজ। তুমি আসো আমার সিংহদরজায়।
তোমার মলিন পোশাক, দীর্ঘদিনের রোদজমা চামড়ায় কাষ্ঠল ঘূর্ণি। ফতুর হাসিতে নির্ভার শান্তি। আমি
মসলিন রাজা, কৌটো করা তালুতে সুবিস্তৃত মানচিত্র নাচাই। হিংসা
খিদেবর্ধক।
তুমি এসে লিখতে চাও আমার সাম্রাজ্য। এটুকু
লিখলেই তোমার ঝোলার পুঁথিঘর সম্পূর্ণ হয়। তুমি এক এক পাতা পড়ে শোনাও আমাকে। তুমি বুঝিয়ে
দাও আমাকে এই ডিমের মত পৃথিবীর গল্প। বুঝিয়ে ফ্যালো এই গল্প একদিন সবার জানার প্রয়োজন
পড়বে। বলে দাও পৃথিবীর বড় হওয়ার এই গল্পের নাম ইতিহাস!
আমি বুঝে নিই এতদিন যা খুঁজে এসেছি তা আমার
সামনে। আমি দেখি এই ঝুলঝুলি পোশাক, কপর্দকহীন তুমিটা আসলে
অমরত্ব নিয়ে ঘুরছ!
তুমি দেখতে পাওনা, আমার চোখ চিকিয়ে উঠছে। ফাটা ঠোঁটে স্পষ্ট হয়ে উঠছে তাজা রক্ত। আমি আপ্রাণ
ঠোঁট চাটছি।
পরিব্রাজক তুমি লক্ষ্য করোনি, ধূর্তের ঠোঁট সবসময় ফাটা থাকে!
খুবই স্মার্ট লাগল কবিতাটি । কবিকে অভিনন্দন ।
ReplyDelete