ফারজানা মণি-র তিনটি কবিতা
ভলকেনো
গ্রাউন্ড ছেড়ে দশটি নখ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে
ফায়ার আইসের ভেতর। একটা টাওয়ার মেশিন।দেখতে পাচ্ছি পলিশ চেয়ারের চৌকোণা পাগুলো
হেঁটে হেঁটে নক্ষত্র জুড়ে দেয়। শৌখিন বইয়ের তাকে - আমাদের মোমজামার গল্প।শুরুতে
পেনিস আক্রান্ত শরীর টা ভলকেনোর ভেতর ঢুকতে চেয়েও প্রতিবার ফিরে ফিরে আসে।এই যে
নক্ষত্র।আমাদের নক্ষত্র।পরিশুদ্ধ জলের মতোন জমিয়ে রাখা স্পার্মে ডুবখেলার
শহর।প্রতি স্তব্ধতায় মিশে যায় আহত শুক্রাণুর অনুতাপ।
শাওয়ার
কেউ পাহাড়ে চুপচাপ উলটে আছে সুনামির গোটা রাত
ছিঁড়ে ফেলো উড়োজাহাজ বাড়ি
বাসন পড়ে থাক হোয়াইট টোন গন্ধ বকুলের গাছ
কেটে মাস্টারবেট শহর পুড়ে যায় বজ্রাহত আগুন
পুড়ে যায় কোথায়? একটা গাড়ি
ভোঁ ভোঁ সাই সাই হুইস্কি এন্ড এপল।প্রমোশন
হচ্ছে মোটিভেশনাল জব।
এরপর
টেবল ছুঁয়ে চেয়ার
চেয়ার ছুঁয়ে টেবল
ওলটানো পাল্টানো মেমরি।থুবড়ানো ডিয়ার।গদগদ করছে কারো হাইভোল্টেজ চশমা।আমাদের রংধনু মেখে
ব্লাডশাওয়ার নিতে হয়।
ট্রান্সপ্লান্ট
সূর্যমুখী
গুনে ফেলার পর এক এক করে মধ্য সোসাইটি শ্যাম্পেইন পেয়ালার কোমরে সিলভার চেইন
একমাত্র হাইফ্লাইং শহরের বাথরুম নাটক চলাকালীন জলপ্রপাতের চুল বেয়ে স্টেইনলেস
কোম্পানির নীলাভ মোহরের এক পৃষ্ঠা বরাবর কিংডম স্যালাইন বুথ - হর্স পাওয়ার মাথায়
চড়ে বসার পর নাগাসাকি এরিয়া মুছে যায় মানচিত্র গ্লোভ বরাবর নিজেকে ঘুরিয়ে নিলে
কাটাকম্পাস গ্রাউন্ড - সাদা পেপারে ছিলকা জড়িয়ে ইয়েলো রক বোর্ড আগুনের ভেতর
অস্ত্রের কুণ্ডলী রোলিং করছে ফাইবার লাইন আংশিকভাবে মোম প্রতিস্থাপন একপ্রকার
সহজাত অভ্যাসের রুটক্যানেল।
ReplyDeleteআছে বেশ।
ভালো লাগল ফারজানা।
ReplyDelete